শাশুড়ীদের জন্য কিছু মূল্যবান উপদেশ

শাশুড়ীদের জন্য কিছু মূল্যবান উপদেশঃ
××××××××××××××××××××××××

۞ শাশুড়িরা (বেশিরভাগ) নতুন বউ ঘরে আসার সঙ্গে সঙ্গে তাদের পেছনে লেগে সম্পর্কটা শুরুতেই তিতে করে ফেলবেন না। মনে রাখবেন, ছেলের বৌয়ের পিছে লাগা মানে কার্যত ছেলের পেছনে লাগা।
۞ সংসারে শান্তির জন্য ছেলে দুরে সরে যেতে চাইবে। ইট মারলে পাটকেলটি খেতে হয়। বৌকে ইট না মেরে ফুল দিন। ফুল দিতে না চাইলে মুখ এবং চোখ বন্ধ রাখুন।
۞ বউ দেখতে ভালো না কেন-এই চিন্তা বাদ দিন। বউ দেখতে এত সুন্দর কেন-এই চিন্তাও বাদ দিন।
۞ নাতি-নাতনিদের কাছে ওদের মায়ের বদনাম করবেন না। জিভ ছোট রাখুন।
۞ দোষ করলে নিজের সন্তান ভেবে মাফ করে দিন, বুঝিয়ে বলুন।
۞ ছেলে আর ছেলের বৌয়ের সম্পর্কের মধ্যে অযথা নাক গলাবেন না। ভালবাসুন, ভালোবেসে একটা মায়ার সম্পর্ক গড়ুন।
۞ ছেলের সংসারে যখন থাকবেন, মনে করবেন আপনি মেয়ের সংসারে আছেন।
۞ জামাইয়ের কাছে যেমন নিজের মেয়ের প্রশংসার ফুলঝুরি তোলেন, ছেলের কাছে বৌয়ের বেলায় তার ব্যতিক্রম করবেন না। দেখবেন, আপনি রানীর আসনে আছেন।
মুল লেখকঃ মেহের নিগার
সুত্রঃ রমনীয়
দৈনিক পূর্বকোণ
====================================
অনেক দিন পর আকরাম ঢাকা থেকে বাড়ীতে এসেছে। আকরামের বোন ও তার জামাইকে নিয়ে বাপের বাড়ীতে বেড়াতে এসেছে। ভোর বেলায় আকরামের মা নিজের মেয়েকে না ডেকে আকরামের বউকে সকালের চা-নাস্তা তৈরী করতে অর্ডার দেয়। এই হচ্ছে আমাদের দেশের মা-দের বিচার। আকরামের মা-র উচিত ছিল ছেলের বউ ও নিজের মেয়েকে একসাথে চা-নাস্তা তৈরী করার নির্দেশ দেয়ার।
আমাদের দেশের মা-রা নিজের মেয়ের সুখ নষ্ট করতে চায়না। কিন্তু ছেলের সংসারে অশান্তি সৃষ্টি করে অন্য মেয়ের সুখ নষ্ট করতে তৎপর থাকে। বউ-শাশুড়ীর দ্বন্ধের কারনে বেশীর ভাগ সংসারে অশান্তি লেগেই আছে————- —