যে সকল হারামকে মানুষ হালকা মনে করে – মাসিকের সময় স্ত্রী সহবাস

★যে সকল হারামকে মানুষ হালকা মনে করে★

মাসিকের সময় স্ত্রী সহবাসঃ

মাসিকের সময় স্ত্রী সহবাস কুরআন-হাদীছ উভয়ের আলোকেই নিষিদ্ধ। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
وَيَسْأَلُونَكَ عَنِ الْمَحِيضِ قُلْ هُوَ أَذًى فَاعْتَزِلُوا النِّسَاءَ فِيْ الْمَحِيضِ وَلاَ تَقْرَبُوهُنَّ حَتَّى يَطْهُرْنَ-
‘তারা আপনাকে মাসিক সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে। আপনি বলুন, উহা অশুচি। সুতরাং মাসিকের সময় তোমরা স্ত্রীদের থেকে দূরে থাক এবং তারা পবিত্র না হওয়া পর্যন্ত তাদের নিকটে যেও না’ (বাক্বারাহ ২২২)।
পবিত্রতা লাভের পর তারা গোসল না করা পর্যন্ত তাদের নিকটে যাওয়া বৈধ নয়। কেননা একই সাথে আল্লাহ তা‘আলা আরও বলেছেন, فَإِذَا تَطَهَّرْنَ فَأْتُوهُنَّ مِنْ حَيْثُ أَمَرَكُمُ اللهُ ‘যখন তারা ভালমত পাক-পবিত্র হয়ে যাবে তখন তোমরা তাদের নিকটে আল্লাহর নির্দেশ মোতাবেক গমন কর’ (বাক্বারাহ ২২২)।
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, اِصْنَعُوا كُلَّ شَىْءٍ إِلاَّ النِّكَاحَ ‘সহবাস ব্যতীত তোমরা তাদের সাথে সব কিছুই কর’।[1]
মাসিকের সময় সহবাস যে কঠিন পাপ তা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর নিম্নোক্ত বাণী হ’তে প্রণিধানযোগ্য। তিনি বলেন, مَنْ أَتَى حَائِضًا أَوِ امْرَأَةً فِى دُبُرِهَا أَوْ كَاهِنًا فَقَدْ كَفَرَ بِمَا أُنْزِلَ عَلَى مُحَمَّدٍ ‘যে ব্যক্তি কোন ঋতুবতীর সাথে মিলিত হয় কিংবা কোন মহিলার পশ্চাৎদ্বারে সঙ্গম করে অথবা কোন গণকের নিকটে যায়, নিশ্চয়ই সে মুহাম্মাদের উপর যা অবতীর্ণ হয়েছে তা অস্বীকার করে’।[2]
অজ্ঞতাবশতঃ যদি কোন ব্যক্তি মাসিকের সময় স্ত্রী সহবাস করে তাহলে তাকে এজন্য কোন কাফফারা দিতে হবে না। কিন্তু জেনেশুনে যারা এ কাজ করবে তাদেরকে নির্ধারিত এক দীনার বা অর্ধ দিনার কাফফারা দিতে হবে। এ সম্বন্ধে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) থেকে হাদীছ বর্ণিত আছে।[3]

[1]. মুসলিম, মিশকাত হা/৫৪৫।
[2]. তিরমিযী; মিশকাত হা/৫৫১।
[3]. তিরমিযী হা/১২৫, আবুদাঊদ, নাসাঈ, মিশকাত হা/৫৫৩, সনদ ছহীহ।