মুনাজাত শেষে দুহাত মুখে মাসেহ করা বিদ’আত

মুনাজাত শেষে দুহাত মুখে মাসেহ করা বিদ’আত!
=================================
দুআ শেষ করার পর হাত দুটিকে মুখে মাসেহ করার ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ্ ﷺ থেকে নির্ভরযোগ্য সূত্রে কোন হাদীছ প্রমাণিত হয়নি। তাই উহা না করাই শ্রেয়।
.
আমাদের সমাজে বহুল প্রচলিত একটি রীতি আমরা তথা প্রায় সকল মুসল্লীরাই করে থাকি সেটি হল দোয়া করার পর নিজের হাত দিয়ে স্বীয় চেহারা মাসেহ করা। এই সংক্রান্ত একটি হাদিস বর্ণনা করেছেন ইমাম ইবনু মাজাহ (রহঃ)। হাদীসটি হল –
ইবনু আব্বাস (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
إِذَا دَعَوْتَ اللَّهَ فَادْعُ بِبَاطِنِ كَفَّيْكَ وَلاَ تَدْعُ بِظُهُورِهِمَا فَإِذَا فَرَغْتَ فَامْسَحْ بِهِمَا وَجْهَكَ
-যখন তুমি আল্লাহর নিকট দু’আ করবে, তখন তোমরা দুহাতের তালু সম্মুখে রেখে দু’আ করবে, দুহাতের পিঠ সম্মুখে রেখে দু’আ করবে না। আর দু’আর শেষে উভয় হাত দিয়ে তোমার চেহারা মাসেহ করবে। [ইবনে মাজহা হা/১১৮১]
■তাহক্বীকঃ
========
হাদীসটি দূর্বল। হাদীসটি দূর্বল হওয়ার কারন –
-সানাদে ইবনু হাসান এর কারনে সানাদটি দূর্বল। কেননা সে হাদীস বর্ণনায় মুনকার, যেমনটি ইমাম বুখারী বলেছেন ।
-আর ইমাম নাসায়ী বলেছেন সে হাদীস বর্ণনায় মাতরুক।
-ইবনু হিব্বান বলেছেন সে প্রমানযোগ্যদের সূত্রে বানোয়াট হাদীস বর্ণনা করত।
[ইবনু নাসর ‘কিয়ামুল লাইল’ (১৩৭পৃঃ), তাবারানী ‘কাবীর’ (৩/৯৮/১) এবং হাকিম (১/৫৩৬)]
-আর ইবনু আবী হাতিম ‘আল-ইলাল’ গ্রন্থে (২/৩৫১) বলেছেন, আমি আমার পিতাকে এই হাদীস সম্পকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, মুনকার। [ইরওয়াউল গালীল]
-ইমাম বায়হাক্বী বলেন, উত্তম হচ্ছে এরূপ না করা এবং সালাফে সালেহীন যা করেছেন তাকেই যথেষ্ট মনে করা। অর্থাৎ- শুধু হাত উঠিয়ে দুআ করা কিন্তু উহা মুখে না মুছা।।