বেদ্বীন কাউকে বিয়ে করে বিয়ের পরে দাওয়াহ দিয়ে তাকে দ্বীনের পথে আনার মতো ভুল সিদ্ধান্ত আর দ্বিতীয়টি হতে পারে না

বেদ্বীন কাউকে বিয়ে করে বিয়ের পরে দাওয়াহ দিয়ে তাকে দ্বীনের পথে আনার মতো ভুল সিদ্ধান্ত আর দ্বিতীয়টি হতে পারে না। কেননা হিদায়াহ আল্লাহ্ সুবহানু তায়ালা আপনার হাতে রাখেননি, এটি তিনি যাকে অনুগ্রহ করেন তাকেই দান করেন। স্বয়ং রসুলুল্লাহ(ﷺ ) নিজের আপন চাচা আবু তালিবকে হিদায়াত করতে পারেননি, সেখানে আপনি আমি দাওয়াহ দিয়ে কাউকে হিদায়াহ করতে পারবো তা তো আকাশ কুসুম চিন্তা ছাড়া আর কিছুই নয়। প্রচুর ভাইয়ের কথা শুনেছি যারা বিয়ের পরে দ্বীন বুঝেছেন এবং দাড়ি রাখা এবং সুন্নাতি লিবাসের কারণে ডিভোর্স পর্যন্ত হয়ে গিয়েছে, কেননা বউ ছিল জাহিল এবং এই জাহিলের পক্ষে সুন্নাহর উপর চলা ওই ভাইকে হজম করা কষ্টকর ছিল। নিজে দ্বীন বুঝার পরও শুধুমাত্র নিজের দুনিয়াদার ফ্যামিলিকে খুশি করার জন্য দুনিয়া ও আখিরাতকে বরবাদ করে দিয়েন না। দুনিয়াদার ফ্যামিলির কাছে দ্বীনের চেয়ে দুনিয়াই প্রায়োরিটি লিস্টের শুরুতেই থাকে। আল্লাহর হুকুমের উপরে দুনিয়াদার ফ্যামিলির আগ্রহকে প্রাধান্য দিলে দ্বীন-দুনিয়া উভয়টি হারানোর ব্যাপারে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই।দুই বাচ্চার বাপ এক বড় ভাই অনেকদিন আগে মাসজিদে আসরের সালাতের পর বলেছিলেন, দাড়ি রাখতে চাওয়াতে নাকি বউ বলেছে ঘুমন্ত অবস্থায় দাড়ি কেটে দিবে। মন চেয়েছিল বলে ফেলি, বউরে বাপের বাড়ি পাঠাই দেন!একটি ছোট থেকে ছোট সুন্নাহর প্রতিও যদি কারো ঘৃণা থাকে তবে সে ইসলাম থেকে বের হয়ে যাবে, যদিও সে৫ ওয়াক্ত সালাত, রোজা আদায় করুক না কেন। আল্লাহই ভালো জানেন উক্ত ভাইয়ের বিয়ে বহাল আছে কিনা! কেননা বউ মুরতাদ তথা ইসলাম থেকে বের হয়ে গেলে তাদের বিয়ে বাই ডিফল্ট ভেঙ্গে যাবে। সারাজীবন তাদের যিনা হিসেবে গণ্য হবে।(বিঃদ্রঃ এখানে কাউকে তাকফির করা হচ্ছে না, তাকফির করার মূলনীতি এবং শারিয়া নির্ধারিত কিছু প্রতিবন্ধকতাও আছে, সতর্কতা হিসেবে বলা হল মাত্র। কেউ এই সমস্যায় পড়লে অতিসত্বর কোন আলিমের শরণাপন্ন হন)।কিছুদিন আগে আরেক পোস্টে দেখলাম জনৈকা বোন নিকাব করা শুরু করাতে স্বামী অসন্তুষ্ট হয়ে নাকি বাপের বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছে সন্তানসহ! কতো জঘন্য অবস্থা। আল্লাহর অবাধ্য হতে হতে এরা যে কোন পর্যায়ে চলে গিয়েছে তা ভাবলেই গা শিউরে উঠে। আমরা যারা “দ্বীনদার” লেভেল লাগিয়ে সুপিরিয়রিটি কমপ্লেক্সে ভুগছি তাদের দায়িত্ব সাধারণ মানুষকে অন্তত তাওহীদ বুঝানো। তাওহীদ বুঝলে সব ঠিক, তাওহীদ না বুঝলে নামাজ, রোজা করেও কিছুই ঠিক থাকবে না। দ্বীন থেকে যে কখন বের হয়ে যাবে নিজেও টের পাবে না।এজন্যই বলা হয়, আমরা ওযু ভঙ্গের কারণ জানলেও ঈমান ভঙ্গের কারণ জানি না। আল্লাহু মুসতায়ান।

*****{কৃতজ্ঞতাঃ ফেরদৌসি লায়লা}*****