বিদ্রুপ করা মুমিনের আচরন নয়

বিদ্রুপ আর বিদ্রুপ !!

ওইইই কালা!!!
ওইইই কানা !!!
ওইইই বাট্টু !!!
ওইইই ভটকু!!!
ওইইই তোতলা !!!
ওইইই প্রতিবন্দি!!!
………….ইত্যাদি।
বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন উপায়ে বিদ্রুপ করে, খারাপ নামে সম্বোধন করে, উপাধিও দেয় বটে! তবে সবই থাকে মানুষের দূর্বলতাকে কেন্দ্র করে।
না, কক্ষনোও নয়। মু’মিন কখনও তার দ্বীনি ভাইকে/বোনকে বিদ্রুপ করতে পারে না, তার দূর্বলতাকে হাঁসি ঠাট্টার বিষয়বস্তুতে রূপান্ত করতে না,

“হে মু’মিনগণ! কোন পুরুষ যেন অপর কোন পুরুষকে বিদ্রুপ না করে; কেননা তারা তাদের চেয়ে উত্তম হতে পারে এবং কোন নারী অপর কোন নারীকেও যেন বিদ্রুপ না করে; কেননা সে তাদের অপেক্ষা উত্তম হতে পারে। তোমরা একে অপরের প্রতি দোষারোপ করো না এবং তোমরা একে অপরকে মন্দ নামে ডেকো না; ঈমানের পরে মন্দ নামে ডাকা গর্হিত কাজ। যারা এ ধরনের আচরণ পরিত্যাগ করে না তারাই যালিম”। (সূরা হুজুরাত, ১১)

“মজা করলাম, মাইন্ড খাইস না দোস্ত/ভাই/বোন”…
গ্রামীণফোনের এ্যাড দেখে- “আমরা আমরাই তো”, এই অযৈক্তিক যুক্তি উপস্থাপন করে আপনি আপনার মু’মিন ভাইকে/বোনকে এইভাবে সম্বোধন করতে পারেন না। সে হয়ত দূর্বল, কিন্তু এটা কি তার দোষ? কেও কি স্বেচ্ছায় দূর্বলতাকে বেঁছে ন্যায়? হতে পারে সেই মু’মিন ভাই/বোন আপনার নিকট তার দূর্বলতার জন্য নিচু পর্যায়ের, আপনি তার দূর্বলতার নিমিত্তে তাকে তুচ্ছ মনে করছেন, কিংবা আপনার ভিতর সেই দূর্বলতা বিদ্যমান নেই বিধায় আপনি নিজেকে উচু স্তরে ভাবছেন। কিন্তু শুনে রাখুন- হয়ত সেই দূর্বল মু’মিন ভাইটি, সেই বোনটিই আল্লাহর নিকট আপনার অপেক্ষায় উত্তম। আর আজ যার দূর্বলতা নিয়ে হাসছেন, কাল কিয়ামতের ময়দানে সে হয়ত আপনাকে রেখে জান্নাতে চলে যাবে, আর আপনি জাহান্নামে পতিত হলেন। তখন সেটাই হবে আপনার জন্য সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা, দূর্বলতা।
অতএব আজই তাওবা করুন, পরিত্যাগ করুন এই কুঅভ্যাস।

সংগ্রহ……… মুহাম্মাদ রূপম