ফজর ও মাগরিব স্বলাতের পর সূরা হাশরের শেষ তিনটি আয়াত পড়া

ফজর ও মাগরিব স্বলাতের পর সূরা হাশরের শেষ তিনটি আয়াত পড়া

ফজর ও মাগরিব স্বলাতের পর সূরা হাশরের শেষ তিনটি আয়াত পড়া
জাল হাদীছের কবলে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর স্বলাত- এর অংশবিশেষ
শায়খ মুযাফফর বিন মুহসিন

উক্ত আমল সম্পর্কে যে হাদীছ বর্ণিত হয়েছে, তার সনদ যঈফ।

عَنْ مَعْقِلِ بْنِ يَسَارٍ عَنْ النَّبِيِّ قَالَ مَنْ قَالَ حِينَ يُصْبِحُ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ أَعُوْذُ بِاللهِ السَّمِيْعِ الْعَلِيْمِ مِنْ الشَّيْطَانِ الرَّجِيْمِ وَقَرَأَ ثَلَاثَ آيَاتٍ مِنْ آخِرِ سُوْرَةِ الْحَشْرِ وَكَّلَ اللهُ بِهِ سَبْعِيْنَ أَلْفَ مَلَكٍ يُصَلُّوْنَ عَلَيْهِ حَتَّى يُمْسِيَ وَإِنْ مَاتَ فِىْ ذَلِكَ الْيَوْمِ مَاتَ شَهِيْدًا وَمَنْ قَالَهَا حِيْنَ يُمْسِىْ كَانَ بِتِلْكَ الْمَنْزِلَةِ.

মা‘কিল ইবনু ইয়াসির রাসূল (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেছেন, যে ব্যক্তি সকালে তিনবার ‘আঊযুবিল্লা-হিস সামীইল

আলীম মিনাশ শায়ত্ব-নির রাজীম’সহ সূরা হাশরের শেষ তিনটি আয়াত পড়বে, আল্লাহ তার জন্য ৭০ হাযার ফেরেশতা নিযুক্ত করবেন, যারা সন্ধ্যা পর্যন্ত তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করবে। যদি ঐ দিন ঐ ব্যক্তি মারা যায়, তাহলে শহীদ হয়ে মারা যাবে। আর যে ব্যক্তি সন্ধ্যায় পড়বে, তার জন্যও একই ফযীলত রয়েছে। [1] হাশরের শেষ তিনটি আয়াত

তাহক্বীক্ব : ইমাম তিরমিযী বলেন, এই হাদীছটি গরীব। আর এই সূত্র ছাড়া আর অন্য কোন সূত্র নেই।[2] এর সনদে খালেদ ইবনু ত্বাহমান নামে যঈফ রাবী আছে।[3] এ সম্পর্কে আরো জাল হাদীছ রয়েছে।[4] অতএব উক্ত হাদীছ আমল করা থেকে বিরত থাকতে হবে। বরং সূরা মুলক পড়া যেতে পারে।

عَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِىِّ قَالَ سُوْرَةٌ مِنَ الْقُرْآنِ ثَلاَثُوْنَ آيَةً تَشْفَعُ لِصَاحِبِهَا حَتَّى يُغْفَرَ لَهُ تَبَارَكَ الَّذِىْ بِيَدِهِ الْمُلْكُ.

আবু হুরায়রাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূল (ﷺ) বলেন, পবিত্র কুরআনে এমন একটি সূরা আছে, যার ৩০টি আয়াত রয়েছে। যে ব্যক্তি ঐ সূরা পাঠ করবে, তার জন্য উহা সুপারিশ করবে যতক্ষণ তাকে ক্ষমা না করা হবে। সেটা হল- ‘তাবারাকাল্লাযী বিইয়াদিহিল মুলক’।[5]

عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَسْعُوْدٍ قَالَ مَنْ قَرَأَ تَبَارَكَ الَّذِىْ بِيَدِهِ الْمُلْكُ كُلَّ لَيْلَةٍ مَنَعَهُ اللهُ بِهَا مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ وَكُنَّا فِىْ عَهْدِ رَسُوْلِ اللهِ نُسَمِّيْهَا الْمَانِعَةَ..

আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি প্রত্যেক রাত্রিতে ‘তাবারাকাল্লাযী বিইয়াদিহিল মুলক’ পাঠ করবে এর দ্বারা আল্লাহ তা‘আলা তাকে কবরের আযাব থেকে মুক্তি দান করবেন। আর আমরা রাসূল (ﷺ)-এর যুগে এর নাম বলতাম ‘আল-মানে‘আহ’ বা বাধাদানকারী..। [6]

[1]. তিরমিযী হা/২৯২২, ২/১২০ পৃঃ।
[2]. ঐ, ২/১২০ هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لَا نَعْرِفُهُ إِلَّا مِنْ هَذَا الْوَجْهِ।
[3]. ইরওয়াউল গালীল ২/৫৮ পৃঃ।
[4]. যঈফুল জামে‘ হা/১৩২০।
[5]. আবুদাঊদ হা/১৪০০, ১/১৯৯ পৃঃ; সনদ হাসান, মিশকাত হা/২১৫৩; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/২০৪৯; সহিহ ইবনে হিববান হা/৭৮৪।
[6]. নাসাঈ, সুনানুল কুবরা হা/১০৫৪৭; সনদ হাসান, সহিহ তারগীব হা/১৪৭৫।