ফজরের ফরয স্বালাতের পূর্বে আযানঃ (তাহাজ্জুদ বা সাহরীর আযান)

ফজরের ফরয স্বালাতের পূর্বে আযানঃ (তাহাজ্জুদ বা সাহরীর আযান)
?????????????????

ফজরের সময় শুরু হওয়ার পূর্বে রাতে একটি আযান দেওয়া প্রমাণিত সুন্নত, যা এখনও হারামাইনে প্রচলিত। অতঃপর ফজর হলে ফজরের আযান দিতে হবে। ফজরের পূর্বের আযানটির উদ্দেশ্য হচ্ছে, তাহাজ্জুদ আদায়কারী যেন কিছুটা বিরাম নিয়ে ফজরের জন্য চাঙ্গা হয়, রোযাদার রোযা রাখার উদ্দেশ্যে যেন সাহরী খেয়ে নেয় এবং কারো উপর গোসল ফরয থাকলে তা সেরে নেয়। [ফাতহুলবারী,২/১৩৮]

আব্দুল্লাহ বিন মাসঊদ নবী (সাঃ) থেকে বর্ণনা করেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ “বেলালের আযান যেন তোমাদের কাউকে সাহরী খাওয়া থেকে বিরত না রাখে; কারণ সে রাতে আযান দেয়, যেন তাহাজ্জুদ আদায়কারী ফেরৎ আসে এবং ঘুমন্ত লোকেরা সতর্ক হয়”। [বুখারী নং ৬২১]

তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরোও বলেনঃ বিলাল রাতে আযান দেয়, তাই তোমরা খাও ও পান কর যতক্ষণ ইবনু উম্মি মাকতূম আযান না দেয়। বর্ণনাকারী বলেনঃ সে অন্ধ ব্যক্তি ছিল। আর সে ততক্ষণে আযান দিত না যতক্ষণে তাকে বলা না হত যে, সকাল হয়ে গেছে সাকাল হয়ে গেছে”। [বুখারী, আযন অধ্যায়, নং ৬১৭]

জমহূর উলামার নিকট উক্ত আযান বৈধ কিন্তু সাউরী, আবু হানীফা এবং মুহাম্মদ এর বিপরীত মত ব্যক্ত করেন। অতঃপর উলামাগণ মতভেদ করেন যে, সেই আযানই কি ফজরের জন্য যথেষ্ট না ফজরের জন্য ভিন্ন আযান দিতে হবে? উপরোক্ত দলীল প্রমাণ করে যে, প্রথম আযান যথেষ্ট নয় বরং পরে ফজর হওয়ার পর ফজরের আযান দিতে হবে, যা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর যুগে অন্ধ সাহাবী ইবনু উম্মি মাকতুম দিতেন।

উল্লেখ্য যে, ফজরের পূর্বের আযান মুস্তাহাব আযান জরুরি নয়। তা দিতে গিয়ে যদি জনপদের লোকেরা বিভ্রান্তিতে পড়ে এবং এটা ফজরের আযান না ফজরের পূর্বের আযান তা নিয়ে গোলমালে থাকে তাহলে এমন সময় সেই আযান দেওয়া উত্তম হবে না। হ্যাঁ, তবে যদি দুই আযানের ভিন্ন ভিন্ন মুয়াযযিন নির্ধারণ করা হয় যেমন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর যুগে ছিল এবং লোকেরা তাদের আওয়াজ পার্থক্য করতে পারে, তাহলে আযান দেওয়া মুস্তাহাব হবে।

>>>সৌজন্যেঃ- শায়েখ আব্দুর রাকীব<<<