তাস বা দাবা খেলা কি ইসলামের দৃষ্টি তে জায়েজ

প্রশ্নঃ তাস বা দাবা খেলা কি ইসলামের দৃষ্টি তে জায়েজ ?

উত্তরঃ উলামাগন স্পষ্ট ভাবে ঘোষনা করেছেন যে, উভয় প্রকার খেলাই হারাম। যেমন আমাদের শেইখ এবং উস্তাদগনও তা উল্লেখ করেছেন। তাদের এই সিদ্ধান্তের কারন এই যে, যে কোন খেলা খেলাতে মানুষের মাঝে উদাস্য ও আল্লাহর জিকির এবং ইবাদতে বাধা সৃস্টি করে। মানে খেলা তাকে নেশার মত আকৃষ্ট করে। আবার অনেক সময় খেলাকে কেন্দ্র করে উভয় দলের খেলোয়াড়দের মাঝে শত্রুতার সম্পর্ক সৃষ্টি হয়। যা মুসলিম সমাজের মাঝে বিভেদ সৃষ্টি করে। আবার অনেক সময় খেলোয়াড়দের উপর বাজি ধরা হয়, যা শরিয়তের দৃষ্টিতে হারাম। শরিয়ত শুধু ৩টি প্রতিযোগিতার অনুমতি দিয়েছে, আর তা হলঃ তীর, ঘোড়া, উট এর প্রতিযোগিতা।

অপর দিকে যারা তাস বা দাবা খেলায় মত্ত থাকে,তারা নিজেরাই বুঝতে পারছে যে তারা কিভাবে সময়ের অপচয় করছে। যেখানে কোন আল্লাহভীতির কিছু নেই এবং দুনিয়াবিও কোন সাফল্য নেই!

অনেকে বলে থাকে, এই সব খেলা দিয়ে মানুষের ব্রেইন খুলে ও বুদ্ধি বাড়ে!!
এই কথার কোন ভিত্তি নেই। কারন সে তাঁর ব্রেইন কে ঐ খেলার সাথেই সীমাবদ্ধ করে রাখছে, যা অন্যের উপকারে আসছে না! তাই সকল মুমিনদের উচিত সময় কে মূল্য দিয়ে তা আল্লাহর কাজে লাগানো কে। এবং এই সব খেলা থেকে নিজেকে দূরে রাখা।

মূলঃ ফতোওয়া, আস-ই’লাতুম মুহিম্মা
শেইখ সালেহ আল উসাইমীন (রহ)
সাবেক সদস্য, সৌদী সর্বোচ্চ ফতোওয়া বিভাগ এবং উচ্চ উলামা পরিষদ।

ফাতাওয়া তে, এখানে মূলত শুধু দাবা কে খাছ করা হয়নি ! সমস্ত খেলার বিধান কেই শামিল করা হয়েছে !

উলামায়ে কেরামকে যারা অবজ্ঞা করে তারা মূলত: ইসলামকেই অবজ্ঞা করে। দেখুন সাহাবায়ে কেরামের ফতোয়া: আলী (রা.) বলেছেন, দাবা হচ্ছে অনারবদের জুয়া। ইবনে ওমারকে দাবা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ওটা পাশা খেলা থেকেও নিকৃষ্ট। আবু মূসা আশআরী বলেন, গুনাহগার ছাড়া কেউ দাবা খেলে না। উবাইদুল্লাহ বিন জা’ফার বলেন, আবু সাঈদ খুদরী রা. দাবা খেলাকে ঘৃণা করতেন। তাবেঈ ইবনে শিহাব যুহরীকে দাবা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, এটা বাতিল বিষয়, আর আল্লাহ বাতিল পছন্দ করেন না।

ইমাম মালেক মুয়াত্তায় বলেন, দাবা হচ্ছে পাশা খেলার অন্তর্ভুক্ত। বাইহাকী ৬০১৬।

ইবনে কাসীর এর সংশোধিত তাফসিরেঃ
সুরা মায়িদার ৯১ আয়াতের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, রসুল (সঃ) বলেছেন
“যে ব্যাক্তি চওসর খেলা করল যে যেন শুকরের মাংস ও রক্ত দ্বারা নিজ হাত রাবগিয়ে নিল”
মুসলিম।

ঠিক পরের লাইনে আছে, “আর দাবা সম্পর্কে আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাঃ) বলেছেন যে, ওটাতো চওসর থেকেও খারাপ, এটা জুয়া ও পাশার মত।।