জনৈক ব্যক্তি বলেন, গাছ-গাছড়া তাবীয হিসাবে ব্যবহার করা যাবে না। তবে কুরআনের আয়াত তাবীয হিসাবে ব্যবহার করা যাবে। এর কোন সত্যতা আছে কি?

জনৈক ব্যক্তি বলেন, গাছ-গাছড়া তাবীয হিসাবে ব্যবহার করা যাবে না। তবে কুরআনের আয়াত তাবীয হিসাবে ব্যবহার করা যাবে। এর কোন সত্যতা আছে কি?
——————————

কুরআনের আয়াত হৌক বা গাছ-গাছড়া হৌক সকল প্রকার তাবীয ব্যবহার করাই শিরক। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি তাবীয ঝুলালো সে শিরক করল’
(আহমাদ হা/১৬৯৬৯; সিলসিলা ছহীহাহ হা/৪৯২; ছহীহুল জামে‘ হা/৬৩৯৪)।

আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদের স্ত্রী যয়নব (রাঃ) বলেন, একদা আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ আমার গলায় সুতা দেখে বললেন, এটা কি? আমি বললাম, ‘সুতা’ যা আমাকে পড়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি সেটা ছিঁড়ে ফেললেন। অতঃপর বললেন, তোমরা আব্দুল্লাহ্র পরিবার। তোমরা অবশ্যই শিরক হ’তে মুক্ত। আমি নবী করীম (ছাঃ)-কে বলতে শুনেছি, ‘নিশ্চয়ই ঝাড়-ফুঁক করা, কোন কিছু ঝুলানো এবং স্বামী-স্ত্রীর মাঝে ভালবাসা সৃষ্টির জন্য যেকোন মাধ্যম অবলম্বন করা শিরক’ (আহমাদ, আবুদাঊদ হা/৩৮৮৩, মিশকাত হা/৪৫৫২)।

ঈসা ইবনু হামযাহ (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, একদা আমি আব্দুল্লাহ ইবনু উকাইমের নিকট গেলাম। তখন তাঁর শরীরে লাল ফোসকা পড়ে আছে। আমি বললাম, আপনি তাবীয ব্যবহার করবেন না? উত্তরে তিনি বলেন, ওটা হ’তে আল্লাহ্র কাছে পানাহ চাই। কেননা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোন কিছু ঝুলাবে, তাকে তার প্রতি সোপর্দ করে দেওয়া হবে’ (তিরমিযী হা/২০০৫; মিশকাত হা/৪৫৫৬)।

সাঈদ ইবনু জুবায়ের (রাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি কোন মানুষের তাবীয কেটে দিল, সে একটি গোলাম আযাদ করার সমান নেকী পেল (মুছান্নাফ ইবনে আবী শায়বাহ, ফাতাওয়া উছায়মীন ৯/১৭৯)। তবে ছহীহ হাদীছে বর্ণিত দো‘আ এবং কুরআনের আয়াত দ্বারা ঝাড়-ফুঁক করা জায়েয।
যেমন সূরা ফাতিহা, নাস ও ফালাক্ব দ্বারা ঝাড়-ফুঁক করা (বুখারী, মিশকাত হা/২৯৮৫; মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/১৫৩২)।।