ক্বিরাআত রুকূ-সিজদা ও স্বলাতের অন্যান্য আহকাম খুব তাড়াহুড়া করে আদায় করা

ক্বিরাআত রুকূ-সিজদা ও স্বলাতের অন্যান্য আহকাম খুব তাড়াহুড়া করে আদায় করা

ক্বিরাআত রুকূ-সিজদা ও স্বলাতের অন্যান্য আহকাম খুব তাড়াহুড়া করে আদায় করা
জাল হাদীছের কবলে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর স্বলাত- এর অংশবিশেষ
শায়খ মুযাফফর বিন মুহসিন

স্বলাতে ধীরস্থিরতা অবলম্বন করা স্বলাত বিশুদ্ধ হওয়ার অন্যতম প্রধান শর্ত। বর্তমান সমাজে যে স্বলাত চালু আছে, তাতে একাগ্রতা মোটেও নেই। কোন মুছল্লীর মাঝে ধীরস্থিরতার অনুভূতি ও একাগ্রতার মানসিকতা থাকলেও ইমামদের কারণে তা অর্জন করতে পারে না। অধিকাংশ ইমাম স্বলাতে দাঁড়িয়ে এমন তাড়াহুড়া শুরু করেন মনে হয় তার শরীরে কেউ আগুন ধরিয়ে দিল কিংবা টগবগে গরম তেলের মধ্যে তাকে চুবানো হল; স্বলাত শেষ করেই তিনি ঠান্ডা পানিতে ঝাঁপ দিবেন। এই তাড়াহুড়ার শুরুটা হয় ইক্বামতের সময় থেকেই। কারণ মুয়াযযিন ইক্বামত শেষ না করতেই ইমাম ‘তাকবীরে তাহরীমা’ বলে ফেলেন। আর শেষ হয় অতি সংক্ষেপে কয়েক সেকেন্ড মুনাজাত করে দ্রুত উঠে যাওয়ার মাধ্যমে। দুঃখজনক হল, এই অন্যায়ের প্রতিবাদ করার সাহস কোন মুছল্লীর হয় না। ইমামের প্রতি ভক্তি আর চলমান রীতি তাদেরকে বন্ধ্যা করে দিয়েছে। শিক্ষিত-অশিক্ষিত, রাজা-প্রজা, মনীব-চাকর সব এক রকম হয়ে গেছে। তাদের আসল-নকল বুঝার বোধ নষ্ট হয়ে গেছে। নিম্নের হাদীছগুলো লক্ষণীয়- ক্বিরাআত রুকূ-সিজদা ও

عَنْ أَبِىْ قَتَادَةَ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ أَسْوَأُ النَّاسِ سَرِقَةً الَّذِىْ يَسْرِقُ مِنْ صَلَاتِهِ قَالُوْا يَا رَسُوْلَ اللهِ وَكَيْفَ يَسْرِقُ مِنْ صَلَاتِهِ؟ قَالَ لَا يَتِمُّ رُكُوْعَهَا وَلَا سُجُوْدَهَا.

আবু ক্বাতাদা (রাঃ) বলেন, রাসূল (ﷺ) বলেছেন, মানুষের মধ্যে সর্বাপেক্ষা বড় চোর ঐ ব্যক্তি, যে তার স্বলাত চুরি করে। ছাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)! সে কিভাবে স্বলাতে চুরি করে? তিনি বললেন, সে স্বলাতে রুকূ এবং সিজদা পূর্ণ করে না। [1]

عَنْ طَلْقِ بْنِ عَلىٍّ الْحَنَفِيّ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ لَا يَنْظُرُ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ إِلَى صَلَاةِ عَبْدٍ لَا يُقِيْمُ فِيهَا صُلْبَهُ بَيْنَ رُكُوْعِهَا وَسُجُوْدِهَا.

ত্বালক ইবনু আলী আল-হানাফী (রাঃ) বলেন, রাসূল (ﷺ) বলেছেন, আল্লাহ তা‘আলা ঐ বান্দার স্বলাতের প্রতি দৃষ্টি দেন না, যে স্বলাতে রুকূ ও সিজদায় পিঠ সোজা করে না।[2]

عَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ قَالَ إنَّ الرَّجُلَ لَيُصَلِّي سِتِّيْنَ سَنَةً مَا تُقْبَلُ لَهُ صَلاَةٌ لَعَلَّهُ يُتِمُّ الرُّكُوْعَ وَلاَ يُتِمُّ السُّجُوْدَ وَيُتِمُّ السُّجُوْدَ وَلاَ يُتِمُّ الرُّكُوْعَ.

আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, নিশ্চয় কোন মুছল্লী ৬০ বছর যাবৎ স্বলাত আদায় করছে। কিন্তু তার স্বলাত কবুল হচ্ছে না। হয়ত সে পূর্ণভাবে রুকূ করে কিন্তু সিজদা পূর্ণভাবে করে না। অথবা পূর্ণভাবে সিজদা করে কিন্তু পূর্ণভাবে রুকূ করে না।[3] উক্ত হাদীছ প্রমাণ করে রুকূ ও সিজদা উভয়ই যথাযথভাবে আদায় করতে হবে।

عَنْ أَبِىْ مَسْعُوْدِ الْأَنْصَارِيِّ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ لَا تُجْزِئُ صَلَاةُ الرَّجُلِ حَتَّى يُقِيْمَ ظَهْرَهُ فِي الرُّكُوْعِ وَالسُّجُوْدِ.

আবু মাসঊদ আনছারী (রাঃ) বলেন, রাসূল (ﷺ) বলেছেন, মুছল্লীর স্বলাত ততক্ষণ যথেষ্ট হবে না, যতক্ষণ সে রুকূ ও সিজদায় তার পিঠ সোজা না করবে।[4]

عَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ دَخَلَ الْمَسْجِدَ فَدَخَلَ رَجُلٌ فَصَلَّى فَسَلَّمَ عَلَى النَّبِىِّ فَرَدَّ وَقَالَ ارْجِعْ فَصَلِّ فَإِنَّكَ لَمْ تُصَلِّ فَرَجَعَ يُصَلِّى كَمَا صَلَّى ثُمَّ جَاءَ فَسَلَّمَ عَلَى النَّبِىِّ فَقَالَ ارْجِعْ فَصَلِّ فَإِنَّكَ لَمْ تُصَلِّ ثَلاَثًا فَقَالَ وَالَّذِىْ بَعَثَكَ بِالْحَقِّ مَا أُحْسِنُ غَيْرَهُ فَعَلِّمْنِى فَقَالَ إِذَا قُمْتَ إِلَى الصَّلاَةِ فَكَبِّرْ ثُمَّ اقْرَأْ مَا تَيَسَّرَ مَعَكَ مِنَ الْقُرْآنِ ثُمَّ ارْكَعْ حَتَّى تَطْمَئِنَّ رَاكِعًا ثُمَّ ارْفَعْ حَتَّى تَعْتَدِلَ قَائِمًا ثُمَّ اسْجُدْ حَتَّى تَطْمَئِنَّ سَاجِدًا ثُمَّ ارْفَعْ حَتَّى تَطْمَئِنَّ جَالِسًا وَافْعَلْ ذَلِكَ فِىْ صَلاَتِكَ كُلِّهَا.

আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, জনৈক ব্যক্তি মসজিদে প্রবেশ করে স্বলাত আদায় শেষে রাসূল (ﷺ)-কে সালাম দিল। তিনি সালামের জবাব দিয়ে বললেন, তুমি পুনরায় স্বলাত আদায় কর। কেননা তুমি স্বলাত আদায় করনি। এইভাবে লোকটি তিনবার স্বলাত আদায় করল। রাসূল (ﷺ) তাকে তিনবারই ফিরিয়ে দিলেন। তখন লোকটি বলল, হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)! যিনি আপনাকে সত্য সহকারে প্রেরণ করেছেন, তাঁর কসম করে বলছি, এর চাইতে সুন্দরভাবে আমি স্বলাত আদায় করতে জানি না। অতএব আমাকে স্বলাত শিখিয়ে দিন! অতঃপর রাসূল (ﷺ) বললেন, যখন তুমি স্বলাতে দাঁড়াবে তখন তাকবীর দিবে। অতঃপর কুরআন থেকে যা পাঠ করা তোমার কাছে সহজ মনে হবে, তা পাঠ করবে। তারপর প্রশান্তিসহ রুকূ করবে। অতঃপর দাঁড়িয়ে ধীরস্থিরতা অবলম্বন করবে। তারপর প্রশান্তির সাথে সিজদা করবে। অতঃপর মাথা উঠিয়ে প্রশান্তিসহ বসবে। প্রত্যেক স্বলাতে এভাবে করবে।[5]

[1]. মুসনাদে আহমাদ হা/২২৬৯৫; মিশকাত হা/৮৮৫; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৮২৫, ২/২৯৫ পৃঃ।
[2]. আহমাদ হা/১৬৩২৬; মিশকাত হা/৯০৪; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৮৪৪, ২/৩০২ পৃঃ।
[3]. মুছান্নাফ ইবনে আবী শায়বাহ হা/২৯৬৩; সহিহ তারগীব হা/৫২৯, সনদ হাসান।
[4]. আবুদাঊদ হা/৮৫৫, ১/১২৪ পৃঃ; মিশকাত হা/৮৭৮; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৮১৮, ২/২৯২ পৃঃ; ত্বাবারাণী কাবীর হা/৩৭৪৮; সহিহ তারগীব হা/৫২৮।
[5]. সহিহ বুখারী হা/৭৫৭; মিশকাত হা/৭৯০ ও ৮০৪, ‘স্বলাতের বিবরণ’ অনুচ্ছেদ।

স্বলাতে ধীরস্থিরতা না থাকার মূল কারণ ফেক্বহী মূলনীতি :

উক্ত হাদীছে স্বলাতের মধ্যে তা‘দীলে আরকানকে রুকুন গণ্য করা হয়েছে, যা ব্যতীত স্বলাত হবে না। অথচ ফিক্বহী মূলনীতি রচনা করতে গিয়ে উক্ত হাদীছকে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। যেমন-

لاَ يَجُوْزُ إِلْحَاقُ تَعْدِيْلِ الْأَرْكَانِ وَهُوَ الطَّمَانِيْنَةُ فِى الرُّكُوْعِ وَالسُّجُوْدِ وَالْقَوْمَةِ بَعْدَ الرُّكُوْعِ وَالْجِلْسَةِ بَيْنَ السَّجْدَتَيْنِ بِأَمْرِ الرُّكُوْعِ وَالسُّجُوْدِ.

‘তা‘দীলে আরকান বা ধীরস্থিরতাকে সম্পৃক্ত করা জায়েয নয়। আর সেটা হল, রুকূ ও সিজদায়, রুকূর পর দাঁড়ানো অবস্থায় এবং দুই সিজদার মাঝে ধীরস্থিরতা অবলম্বন করা। রুকূ ও সিজদার আদেশের কারণে’।[1]

ব্যাখ্যা : আল্লাহ তা‘আলা যেহেতু শুধু রুকূ ও সিজদা করার কথা বলেছেন, ধীরস্থিরতার কথা বলেননি (হজ্জ ৭৭)। আর হাদীছে এসেছে ধীরস্থিরতা অবলম্বন করতে হবে। তাই হাদীছের হুকুম এখানে গ্রহণযোগ্য নয়।[2]

সুধী পাঠক! কে না জানে যে, হাদীছ পবিত্র কুরআনের ব্যাখ্যা? আল্লাহ রুকূ ও সিজদা করার নির্দেশ দিয়েছেন, কিন্তু কিভাবে করতে হবে তা রাসূল (ﷺ) বাস্তবে শিক্ষা দিয়েছেন। অথচ উক্ত মূলনীতি রচনা করে হাদীছের হুকুমকে হত্যা করা হয়েছে। তা‘দীলে আরকান না থাকার কারণে উক্ত মুছল্লীকে রাসূল (ﷺ) তিনবার স্বলাত আদায় করার নির্দেশ দিলেন। যার উপর আমল না করলে স্বলাতই হবে না। আর সেই হাদীছকে উদ্ভট মূলনীতি দ্বারা প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। মূলতঃ মুসলিম সমাজের বিরুদ্ধে এটি সূক্ষ্ম চক্রান্ত। এ কারণেই দুই সিজদার মাঝের দু‘আকে বাদ দেয়া হয়েছে। তাড়াহুড়ার কারণে রুকূ-সিজদা সঠিকভাবে করা যায় না এবং তাসবীহও পাঠ করা যায় না।

হে ইমাম ও আলেম ছাহেব! আপনার হৃদয়ে কি সামান্যতম আল্লাহর ভয় নেই? আল্লাহ কি আপনাকে পাকড়াও করতে পারবেন না? আপনার কাছে কি মরণের ফেরেশতা আসবেন না? কবরে কি আপনার হিসাব হবে না? আপনার মনগড়া স্বলাতের কারণে কত মুছল্লীর স্বলাত নষ্ট হচ্ছে তা কি আপনি কখনো ভেবে দেখছেন? শ্বাস বন্ধ হওয়ার পূর্বেই নিজে সংশোধন হৌন এবং মুছল্লীদেরকে সংশোধন করার চেষ্টা করুন।

[1]. নূরুল আনওয়ার (ঢাকা : ইমদাদিয়া পুস্তকালয়, ১৯৭৬), পৃঃ ১৮।
[2]. নূরুল আনওয়ার, পৃঃ ১৮।

(১৫) সালামের বৈঠকে নিতম্বের উপর না বসে বাম পায়ের উপর বসা :

শেষ তাশাহ্হুদে বসার নিয়ম হল- বাম পা ডান পায়ের নীচ দিয়ে বের করে দিয়ে নিতম্বের উপর বসা। এটাই সুন্নাত।[1] যেমন- وَإِذَا جَلَسَ فِى الرَّكْعَةِ الآخِرَةِ قَدَّمَ رِجْلَهُ الْيُسْرَى وَنَصَبَ الأُخْرَى وَقَعَدَ عَلَى مَقْعَدَتِهِ ‘আর যখন রাসূল (ﷺ) শেষ রাক‘আতে বসতেন তখন বাম পাকে সামনে বাড়াতেন এবং ডান পা খাড়া রাখতেন। আর তিনি তার নিতম্বের উপর বসতেন’।[2] উক্ত আমল ছিল রাসূল (ﷺ)-এর নিয়মিত আমল। হাদীছটি দশ জন ছাহাবী কর্তৃক সত্যয়নকৃত। কিন্তু উক্ত সুন্নাত আজ সমাজ থেকে বিদায় নিয়েছে। অধিকাংশ মুছল্লী আমল করে না।

উল্লেখ্য যে, মাওলানা আব্দুল মতিন ‘দলিলসহ স্বলাতের মাসায়েল’ বইয়ে উক্ত সহিহ হাদীছ গোপন করে উক্ত সুন্নাতকে অস্বীকার করেছেন। বরং দুই রাক‘আতে বসার হাদীছগুলো পেশ করে মুছল্লীদেরকে ধোঁকা দিতে চেয়েছেন এবং সুন্নাত আমলকারীদেরকে তীব্র ভাষায় তাচ্ছিল্য করেছেন।[3] তাছাড়া বুখারী থেকে যে হাদীছ পেশ করেছেন তার পরের হাদীছটি উল্লেখ করেননি। আল্লাহ রহম করুন।

[1]. বুখারী হা/৮২৮, ১ম খন্ড, পৃঃ ১১৪, (ইফাবা হা/৭৯০, ২/১৪৪ পৃঃ); মিশকাত হা/৭৯২; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৭৩৬, ২/২৫২ পৃঃ, ‘স্বলাতের বিবরণ’ অনুচ্ছেদ। আবুদাঊদ হা/৯৬৩, ৯৬৪, ৯৬৫, ১/১৩৮ পৃঃ; সহিহ ইবনে হিববান হা/১৮৬৭; সহিহ ইবনে খুযায়মাহ হা/৬৪৩ ও ৭০০।
[2]. বুখারী হা/৮২৮, ১ম খন্ড, পৃঃ ১১৪, (ইফাবা হা/৭৯০, ২/১৪৪ পৃঃ)।
[3]. দলিলসহ স্বলাতের মাসায়েল, পৃঃ ৯৫-৯৭।

(১৬) সহো সিজদার জন্য ডানে একবার সালাম ফিরানো এবং পুনরায় তাশাহ্হুদ পড়া :

স্বলাতে ভুল করলে প্রায় মুছল্লী তাশাহ্হুদ পড়ে ডান দিকে একবার সালাম ফিরায়। অতঃপর সহো সিজদা দিয়ে আবার তাশাহ্হুদ পড়ে। এই আমল সহিহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত নয়। বিশেষ করে একদিকে সালাম ফিরানোর কোন দলীলই নেই। একেবারেই ভিত্তিহীন। আর সহো সিজদার পর তাশাহ্হুদ পড়া সম্পর্কে মাত্র একটি বর্ণনা এসেছে। সেটা আবার যঈফ।

عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ أَنَّ النَّبِىَّ صَلَّى بِهِمْ فَسَهَا فَسَجَدَ سَجْدَتَيْنِ ثُمَّ تَشَهَّدَ ثُمَّ سَلَّمَ.

ইমরান ইবনু হুছাইন থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাদেরকে নিয়ে স্বলাত আদায় করেন এবং ভুল করেন। অতঃপর তিনি দুইটি সিজদা দেন এবং পুনরায় তাশাহহুদ পড়েন অতঃপর সালাম ফিরান।[1]

তাহক্বীক্ব : বর্ণনাটি যঈফ।[2] উক্ত হাদীছ সহিহ হাদীছেরও বিরোধী। কারণ একই রাবী থেকে সহিহ বুখারীতে হাদীছ বর্ণিত হয়েছে। কিন্তু সেখানে তাশাহ্হুদ পড়ার কথা নেই।[3]

অতএব উক্ত আমল পরিত্যাগ করতে হবে। স্বলাতে তাশাহ্হুদে বসতে ভুলে গেলে কিংবা রাক‘আত কম-বেশী হলে অথবা রুকূ-সিজদা ছুটে গেলে ভুল সংশোধন করে নিবে। অতঃপর শেষ বৈঠকে তাশাহ্হুদ, দরূদ ও অন্য দু‘আ পড়ে শেষ করে সালাম ফিরানোর পূর্বেই দুইটি সহো সিজদা দিবে এবং সালাম ফিরাবে।[4] অথবা সালাম ফিরানোর পর দুইটি সিজদা দিবে এবং পুনরায় সালাম ফিরাবে।[5] সহো সিজদা দেয়ার পর তাশাহ্হুদ পড়তে হবে না।

[1]. আবুদাঊদ হা/১০৩৯, ১/১৪৯ পৃঃ।
[2]. যঈফ আবুদাঊদ হা/১০৩৯, পৃঃ ৮৩; বিস্তারিত দ্রঃ তানক্বীহ, পৃঃ ৩৩২-৩৫।
[3]. বুখারী হা/৪৮২, ১/৬৯ পৃঃ, (ইফাবা হা/৪৬৬, ১ম খন্ড, পৃঃ ২৬১), ‘স্বলাত’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-৮৮; মিশকাত হা/১০১৭, পৃঃ ৯৩।
[4]. বুখারী হা/১২৩০; মুসলিম হা/১২৯২-১৩০০, ‘মসজিদ সমূহ’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-২০; মিশকাত হা/১০১৮।
[5]. মুসলিম হা/১৩০২, ‘মসজিদ সমূহ’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-২০।

 

>>>কৃতজ্ঞতাঃ- hadithonlinebd<<<