কুফা শিরক হবে কেন?

কুফা শিরক হবে কেন?
—————————————-
কুফা মানে হচ্ছে কোনো মানুষ, দিন, সময়, জায়গা, বস্তু ইত্যাদিকে খারাপ মনে করা – এবং এইগুলোকে ভাগ্যের খারাপ কোনো কিছুর কারণ মনে করা।
যেমন বলে অমুক “কুফা” – সে আসছে বলে আমার ব্যবসার এই ক্ষতি হয়েছে।
অথচ ব্যবসার ক্ষতি, রিযিক, সম্পদ – সবকিছুই নিয়ন্ত্রন করেন একমাত্র আল্লাহ তাআ’লা। সবকিছুই আগে থেকে নির্ধারণ করে রাখেন আল্লাহ।
এখন আল্লাহকে বাদ দিয়ে অথবা (তাঁর প্রতি বিশ্বাস থাকা অবস্থায়) অন্য কাউকে বা কোনো কিছুকে ভাগ্য নিয়ন্ত্রন করতে পারে আমন ধারণা রাখা – এক কথায় যাকে কুফা বলা হয় – এটা শিরক হয়ে যায়।
কারণ এর দ্বারা সে যাকে কুফা বলছে – তাকে আল্লাহর সমকক্ষ মনে করছে – ভাগ্য নিয়ন্ত্রনকারী হিসেবে – আল্লাহর ক্ষমতার সাথে তাকেও শরীক করছে। যদিও এখানে মন্ধ ভাগ্য – কিন্তু মূল বিষয়টা এখানেই। ঈমানের ৬ নাম্বার পিলার “ওয়াল ক্বাদরী খাইরিহি ওয়া শাররিহি” – ভাগ্যের ভালো ও মন্দের নিয়ন্ত্রনকারী হচ্ছেন মহান আল্লাহ।

শনি বারে যাত্রা করলে অশুভ…
রাতের বেলা পেঁচা ডাকলে অমংগল হবে…
অসময়ে কুকুর ডাকলে বাড়ির কেউ মারা যাবে…
দুই শালিক মংগল, এক শাকিল কুফা…
অমুক জিনিসটা কুফা অমুক জিনিসটা লক্ষী (ভালো)…
হাতের অমুক জায়গায় তিল থাকলে টাকা পয়সা হবে, অমুক জায়গায় থাকলে বউ মারা যাবে…
সাবধান !
এই রকম যত্তগুলো ভালো বা মন্দ / শুভ-অশুভ / মংগল অমংগলের লক্ষণ আছে এই সবগুলো ভ্রান্ত শিরকি বিশ্বাস। তাকদীরের ভালো বা মন্দের একমাত্র মালিক আল্লাহ তাআ’লা। অন্য কোনো কিছু তাকদীরের জন্য ভালো বা মন্দের কারণ মনে করা ঈমান বিরোধী কুসংস্কার। অনেকে বলে, আমরা এইগুলো বিশ্বাস করিনা, আমিতো এইগুলো মজা করে বলছি। আপনার জানা থাকা উচিত, সব কিছু নিয়ে মজা করা চলেনা। কেউ যদি মজা করে দুর্গাকে সেজদা করে সেটা শিরক। কেউ যদি মজা করেও শিরকি কুফুরী কথা বলে সেটা শিরকি কুফুরী বলেই গণ্য হবে !
আল্লাহ আমাদের শিরকি কুফুরী থেকে হেফাজত করুন, আমিন।।