কন্যা সন্তান জেনে ভ্রুন হত্যা করা বা কন্যা সন্তানকে অবহেলা করা মারাত্মক কবীরা গুনাহ

মুগীরা (রাঃ)-র সচিব ওয়াররাদ (র) বলেন, মুআবিয়া (রাঃ) মুগীরা (রাঃ)-কে লিখে পাঠান,

রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর যে হাদীস তুমি শুনেছো তা আমাকে লিখে পাঠাও।

মুগীরা (রাঃ) লিখেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) গুজব ছড়াতে, সম্পদ ধ্বংস করতে, অধিক যাঞ্চা করতে, অপরের প্রাপ্য অধিকার বাধাগ্রস্ত করতে, মাতাদের অবাধ্যাচারী হতে এবং #কন্যা সন্তানকে জীবন্ত প্রোথিত করতে নিষেধ করেছেন

(বুখারী, মুসলিম, দারিমী)।

বইঃ সহীহ বুখারী (তাওহীদ), অধ্যায়ঃ ৪৩/ ঋণ গ্রহণ, ঋণ পরিশোধ, নিষেধাজ্ঞা আরোপ ও দেউলিয়া ঘোষণা, হাদিস নম্বরঃ ২৪০৮

মুগীরাহ ইবনু শু‘বাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন,

আল্লাহ তা‘আলা তোমাদের উপর হারাম করেছেন মায়ের নাফরমানী, #কন্যা সন্তানকে জীবন্ত কবর দেয়া, কারো প্রাপ্য না দেয়া এবং অন্যায়ভাবে কিছু নেয়া আর অপছন্দ করেছেন অনর্থক বাক্য ব্যয়, অতিরিক্ত প্রশ্ন করা, আর মাল বিনষ্ট করা।

(((৮৪৪, মুসলিম ৫/৩০, হাঃ ৫৯৩)  (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২২৩১, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ২২৪৮)))

#আমাদের অনেক ভাইদের দেখা যায় মেয়ে সন্তান হলে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে স্ত্রীর দোষ দেয় এবং স্ত্রীক নির্যাতনও করে যা মোটেই উচিৎ নয় এটা একটি নিকৃষ্ট কাজ।

মেয়ে হোক না ছেলে সেটা বড় কথা নয় কথা হলো তাদের লালন পালন করে শিক্ষিত বানানো যাতে তারা আমাদের কল্যানে আসতে পারে।

#আর মেয়ে সন্তান যে বিশেষ রহমত তার দলিল নিম্নে দেওয়া হলো।
—————————
#রাসুল_(সাঃ)_এর_মনিমুক্তা

#রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, “যে ব্যক্তিকে এই কন্যা সন্তান প্রদান করার মাধ্যমে পরীক্ষা করা হবে,

সে যদি তাঁদের প্রতি সুন্দর আচরন করে,তাঁদেরকে সঠিকভাবে লালন-পালন করে, তবে তাঁরা জাহান্নাম থেকে বাঁচার জন্য পর্দাস্বরূপ হয়ে যাবে”।

((((( (বুখারি, মুসলিম))))))
————————–

#রাসুল_(সাঃ)_এর_মনিমুক্তা

#রসূল(সাঃ) ইরশাদ করেন, “কারো যদি তিনজন কন্যা সন্তান থাকে বা তিনজন বোন থাকে,

অথবা দুজন কন্যা বা দুজন বোন থাকে এবং সে তাদের ব্যপারে আল্লাহকে ভয় করে তাদের প্রতি করুনা ওসদ্ব্যবহার করে, তবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে”।

((((আহমাদ হা/২২৮৬৬)))))
—————————
#রাসুল_(সাঃ)_এর_মনিমুক্তা

#রসুলুল্লাহ(সাঃ)বলেছেন, “সমগ্র পৃথিবীটাই সম্পদে পরিপূর্ণ,

এরমধ্যে কল্যাণকর ও উত্তম সম্পদ হল চরিত্রবান নেককার স্ত্রী”।

(((( (সহীহ মুসলিম))))))

“তোমাদের মধ্যে সেই উত্তম যে তার স্ত্রীদের নিকট উত্তম”

((( (সহীহ মুসলিম))))

————————–

“মুসলিম রমণী যদি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে, রামাজানের সিয়াম পালন করে,

নিজের লজ্জাস্থানের হেফাজত করে এবং স্বামীর আনুগত্যকরে, তবে তাকে বলা হবে,

জান্নাতের যে দরজা দিয়ে ইচ্ছে তুমি ভেতরে প্রবেশ কর”।

(((((মুসনাদে আহমাদ হা/১৫৭৩))))

এক ব্যক্তি নবী(সাঃ) কে প্রশ্ন করল, হে আল্লাহ্‌র রসূল! মানুষেরমধ্যে কে আমার সদ্ব্যবহার পাওয়ার সর্বাধিক অধিকার রাখে?

তিনি বললেন, তোমার মা। সে বলল তারপর কে? তিনি বললেন, তোমার মা। সে বলল তারপর কে? তিনি বললেন তোমার মা। সে বলল তারপর কে? তিনি বললেন তোমার পিতা।
_________
কন্যা, বোন, স্ত্রী বা মা যাই হোকনা কেন, ইসলামে নারীর মর্যাদা যে কতখানি উপরের হাদিস গুলো দ্বারা নিশ্চয়ই তা স্পষ্ট।

কোন বোন কি আছেন যে দ্বিমত পোষণ করেন?

ইসলাম নারীকে যেমন উচ্চ মর্যাদা দিয়েছে তেমনি কিছু দায়িত্বও দিয়েছে।

অন্যতম একটি প্রধান দায়িত্ব হল যথাযথ পর্দার মাধ্যমে নিজের আব্রু রক্ষা করা।
—————————
★হে আল্লাহ তোমি আমাদের ইমানি শক্তি বৃদ্ধি করে দাও।

মেয়ে সন্তান বোযা নয় রহমত স্বরুপ