ই’তেকাফ নষ্টের কারন সমুহ

বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম।

প্রশ্ন: কী কী কারণে ই‘তেকাফ নষ্ট হয়ে যায়?
জানালে উপকৃত হবো।

উত্তর: ইতেকাফ নষ্ট হওয়ার কারণসমূহ নিম্নে উল্লেখ করা হলো।
১। বিনা প্রয়োজনে মসজিদে থেকে বের হলে ই‘তেকাফ নষ্ট হয়ে যাবে।
প্রয়োজন বলতে মানুষের একান্ত মানবিক প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো বুঝানো হয়েছে যেগুলো মানুষ সারতে একান্ত বাধ্য তথা পেশাব-পায়খানা, ফরজ গোসল, পানাহারের জন্য সরবরাহকারী কোন লোক না থাকলে নিজে সরবরাহ করার জন্য যাওয়া ইত্যাদি।
ফরজ গোসল ব্যতীত অন্য কোন গোসল করার জন্য বের হলে ই‘তেকাফ নষ্ট হয়ে যাবে। তবে পেশাব-পায়খানায় গেলে প্রয়োজন সারার পর অজু করতে যতটুকু সময় লাগে ঠিক ততটুকু সময়ের মধ্যে গোসল করা সম্ভব হলে গোসল করা যাবে। এর চেয়ে অতিরিক্ত সময় ব্যায় করে গোসল করতে গেলে ই‘তেকাফ নষ্ট হয়ে যাবে।
২। সহবাস বা স্বামী-স্ত্রীসুলভ কোন আচরণ করলে ই‘তেকাফ নষ্ট হয়ে যাবে।
কোন ব্যক্তি ই‘তেকাফ করা অবস্থায় যদি স্ত্রীর সাথে সহবাস করে বা কোন স্ত্রী যদি ই‘তেকাফ অবস্থায় স্বামী-সহবাস করে তাহলে তার ই‘তেকাফ নষ্ট হয়ে যাবে। অনুরূপ স্ত্রীসুলভ কোন কাজ যেমন, স্ত্রীকে উত্তেজনার বশে চুম্বন করার ফলে বীর্য বের হলে, ইচ্ছা করে বীর্য ক্ষয় করলে ই‘তেকাফ নষ্ট হয়ে যাবে।
৩। ই‘তেকাফ অবস্থায় মুরতাদ হয়ে গেলে ই‘তেকাফ নষ্ট হয়ে যাবে।
৪। প্রয়োজনের উদ্দেশ্যে মসজিদ থেকে বের হয়ে ই‘তেকাফের নিয়ত ভেঙ্গে দিলে ই‘তেকাফ নষ্ট হয়ে যাবে।
৫। ই‘তেকাফ অবস্থায় রোযা নষ্ট হয়ে গেলে ই‘তেকাফ নষ্ট হয়ে যাবে।
৬। ই‘তেকাফ অবস্থায সূর্যাস্ত থেকে পর দিন বেলা হেলার আগ পর্যন্ত যদি বেহুশ হয়ে থাকে তাহলে তার ই‘তেকাফ নষ্ট হয়ে যাবে। অর্থাৎ রোযার নিয়ত করা যায় এমন সময়ের পুরো সময় যদি বেহুশ হয়ে থাকে তাহলে ই‘তেকাফ নষ্ট হয়ে যাবে। আর যদি উক্ত সময়ের মধ্যে সামান্য সময় হুশ থাকে তাহলে ই‘তেকাফ নষ্ট হবে না।
এ ছাড়াও আরো অনেক শাখাগত কারণ থাকতে পারে। কারো সামনে সেগুলো পেশ আসলে অভিজ্ঞ মুফতী সাহেবদের নিকট থেকে জেনে নেওয়ার অনুরোধ রইল।
গ্রন্থপঞ্জী: ফতোয়ায়ে আলমগীরী, ফতোয়ায়ে কাজীখান, বাহরুর রায়েক, বাদায়েউস সানায়ে, ফতোয়ায়ে শামী ইত্যাদি।

প্রচারে-★আহনাফ ফাউন্ডেশন★