আপনার ইবাদত হয়ে গেছে রোবট এর মত

আপনার ইবাদত হয়ে গেছে রোবট এর মত!!

আপনি সালাতে রুকুতে যাচ্ছেন,সেজদায় যাচ্ছেন,
কিন্তু কেন করছেন??

আপনার কি মনে হচ্ছে না আপনার সালাত শুধুই হয়ে যাচ্ছে
সালাতের যে নিয়ম গুলা follow করতে হয় শুধু সেই নিয়ম মানা!!!

আপনি জানেনই না কেনই বা সালাতে রুকু করছেন!!
কেনই বা সালাতে সিজদা দিচ্ছেন!!

ভাই ও বোনেরা আপনার সালাত পড়ার intention এর
পরিবর্তন আনুন…।

রোবটের মত শুধু নিয়ম মেনে নিজেকে সালাতের মধ্যে
moving না করিয়ে আপনার সালাতের মধ্যে
প্রতিটি কাজ কেনই বা করছেন তার কারন খুজে বের করুন।

আর এর জন্য রুকু সেজদা এগুলাতে আপনি কি পাঠ করছেন
তার অর্থ জানা আবশ্যক,কারন আপনি ঘুমালে সপ্নও দেখেন
আপনার নিজের মাতৃভাষায়,তাই সেই তাসবিহ গুলার অর্থ
জেনে নিয়ে আপনাকে সালাতের রুকু সেজদার
মানে খুজতে হবে…।।

রুকু’র তাসবিহঃ
সুবহানা রাব্বিয়াল আজিম
(আমার মহান মর্যাদাশীল প্রভুর পবিত্রতা বর্ননা করছি)/( ‘আমার মহান প্রভু সকল দোষ – ত্রুটি থেকে পবিত্র।’)

ভাবুন আপনি কি পাঠ করছেন………
আপনি আপনার রবের একটা অন্যতম দিক বর্ননা করছেন,
আর সে জন্য আপনি আপনার মাথা ঝুকিয়ে
আপনার রবের কাছে নত হয়ে বলছেন আপনি মহান,আপনি পবিত্র!!

আর আল্লাহ খুশি হয়ে আপনার গুনাহ ঝড়িয়ে দিচ্ছেন!!
এর আনন্দই আপনার মধ্যে আনার চেষ্টা করুন।।

এভাবে নিজের সালাতকে নিয়ে যান এক অন্যতম লেভেল এ……।।

রুকু থেকে দাঁড়িয়ে তাসমি পাঠ করবে।
তাসমিঃ সামি আল্লাহুলিমান হামিদাহ
(যে আল্লাহ’র প্রশংসা করে তিনি তা শোনেন)

তারপর তাহমিদঃ রাব্বানা লাকাল হামদ
(সকল প্রশংসা আল্লাহ’র জন্য)
তারপর সিজদা। সিজদার সময় পরিপুর্ন ভাবে খেয়াল রাখবে যে, আমি আল্লাহ’র কাছে পুর্নভাবে আত্মসমর্পন করছি।

সিজদার তাসবিহঃ
সুবহানা রাব্বিয়াল আ’লা
(আমার শ্রেষ্ঠ প্রতিপালকের পবিত্রতা বর্ননা করছি)

দুই সাজদার মধ্যবর্তী দু’আ:
আল্লাহু ম্মাগ ফিরলী ওয়ার হামনি ওয়ার যুক্কনী
অর্থ : ‘আয় আল্লাহ ! আমাকে মাফ করে দাও, আমার প্রতি দয়া করো, আমাকে সঠিক পথে চালাও, আমাকে সুস্থ রাখো এবং আমাকে জীবিকা দান করো।’

দুনিয়ার কোন কাজের জন্য আমরা একে অন্যের সাথে
প্রতিযোগিতা করি যে কারটা বেশি সুন্দর!!

কিন্তু আপনার আখিরাতের ভিত্তির
প্রতিটি ইটের মধ্যে সিমেন্ট হিসেবে সে সালাত কাজ করবে
অর্থাৎ যার সালাত যত মজবুজ হবে তার ভিত্তি তত শক্ত হবে…

সেই ভিত্তি নির্মানের জন্য কোনরুপ প্রতিযোগিতা আমাদের মধ্যে নেই!!
আমরা কখনো ভেবেও দেখি না যে
“আমার সালাত সবার থেকে সুন্দর করতে হবে”

আর এই চিন্তা না করার কারন একটাই
তা হলো সালাত আমরা পড়া হিসেবে নিয়েছে কায়েম হিসেবে নয়!!

জাগ্রত হঊন………………………।।
আল্লাহ আমাদের তৌফিক দিক
সালাতকে সুন্দর ও অর্থবাহুল করার……